
আমরা তো জানি যে ইলেকট্রিসিটি দিয়ে ফ্যান ঘুরে, কলকারখানা বাসার টেলিভিশন সবকিছুইতেই ইলেকট্রিসিটি লাগে। এই ইলেকট্রিসিটি তৈরি করতে জেনারেটর লাগে যা তেল দিয়ে চলে, অথবা পানির ড্যাম, কয়লা থেকেও বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা যায় যা পড়ে আলোচনা করব।
কিন্তু সমস্যা হল এই কয়লা, তেল এগুলো অফুরন্ত নয়; এগুলো এক সময় পৃথিবী থেকে শেষ হয়ে যাবে। তখন কি হবে!!
তো বিজ্ঞানীরা খুঁজতে তো শুরু করল কিভাবে প্রায় বিনামূল্যে অথবা এইগুলা ছাড়া আর কি উপায়ে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা যায়??!! এখান থেকেই উইন্ডমিলের উৎপত্তি।
উইন্ডমিল Windmill কিভাবে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে:
আমাদের বাসায় যে ফ্যান আছে অথবা কোন ডিসি মোটরে তুমি যদি বিদ্যুৎ প্রবাহ কর তাহলে পাখা ঘুরে এবং আমরা বাতাস পাই। বিদ্যুৎ প্রবাহ করলে মটর কেন ঘুরে সেটা আমি আগেই আলোচনা করেছি; কারন হচ্ছে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফোর্স বা তড়িৎ চুম্বক শক্তি।
তাহলে এটা একি বলা যায় যে বিদ্যুৎ প্রবাহের ফলে যদি বাতাস তৈরি হয়, তাহলে বাতাস প্রবাহ করলে বিদ্যুৎ তৈরি হবে তাই না! এক্সাক্টলি এই ধারনাটাই হচ্ছে উইন্ডমিল।
এই কারণে উইন্ডমিলগুলো এমন জায়গায় বসানো হয় যেখানে প্রচন্ড পরিমাণে বাতাস প্রবাহিত হয় যেমন ধরো খোলা মাঠে, সমুদ্রের উপরে উইন মিল বসানো হয়।
কার্যপ্রণালী: উইন্ডমিল তৈরি করতে যা লাগবে
১.একটা মটর
২.একটা পাখা বা ব্লেইড
৩.একটা ব্যাটারি( ব্যাটারি কেন লাগবে সেটা পরে ব্যাখ্যা করছি)

ব্যাটারি কনেকশন দিলে মটর ঘুরে, পাখা ঘুরে এবং বাতাস উৎপন্ন হয়।এই সেম কনসেপ্ট বাট বিপরীতভাবে কাজে লাগিয়ে উইন্ডমিল তৈরি হয়।

ছবিতে একটা বাস্তব উইন্ডমিল প্রজেক্ট দেখা যাচ্ছে। এখন এই চিত্রটা দেখো, প্রথমে বাতাস ফ্যানটাকে ঘুরায় সেই সাথে মোটরে রটরও ঘুরে। সেই ঘূর্ণনের ফলে যে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় তা মোটর এর সাথে লাগানো তার (লাল এবং কালো) দিয়ে ব্যাটারিতে গিয়ে স্টোর হয় যা পরে যখন বাতাস থাকে না তখন ব্যাটারি থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে ঘরবাড়ির যন্ত্রপাতে চালনা করা হয়।
এই ভিডিওটা দেখলে আরো ভালোভাবে বুঝতে পারবে আশা করি।
তাহলে আমাদের নিজের বাসায় এখন একটা উইন্ডমিল তৈরি করে দেখা যাক
১.একটা ডিসি মটর
২.একটা ফ্যান
৩.দুইটি তার
৪.একটি ১.৫ ভোল্টের লাইট
প্রজেক্টের ডায়াগ্রাম টা নিম্নরূপ হবে
