
সফল সন্তানদের মা-বাবার মধ্যে যে ৫ গুণ থাকে
১. সাপোর্টিভনেস:
সন্তানের পাশে থাকুন সব সময়। দেখুন সমস্যা ছাড়া জীবন হয় না। কিন্তু ওই সমস্যাগুলোতে আমার যদি ভেঙে না পড়ে এগিয়ে যায় তাহলেই কেবল সফলতা আমাদের কাছে ধরা দেয়। তাহলে সন্তানের সফলতায় অথবা ব্যর্থতায় সব সময় তাদেরকে সহযোগী যেতে হবে। দিনে অন্তত তিনবার সন্তানের চোখে চোখ রেখে বলুন “আমি তোমাকে ভালোবাসি”। যেকোনো সমস্যার পজিটিভলি ডিফাইন করতে পারলে তার ৮০% সলভ হয়ে যায়। তাই তাকে আগে শেখান কিভাবে প্রবলেম কে নেগেটিভলি না দেখে পজিটিভলি দেখে সামনে এগোতে হয়।
২. শর্তহীন ভালোবাসা প্রদর্শন করুন:
সন্তানকে ভালোবাসো শর্তহীনভাবে। যে কোন ক্রিয়ারই একটি প্রতিক্রিয়া আছে। আপনি যদি আপনার সন্তানকে শর্তহীনভাবে ভালোবাসেন তাহলে অন্যকেও সে শর্তহীনভাবে ভালোবাসবে। এতে করে তার আত্মমর্যাদা বাড়াবেন সহনশীলতা বাড়বে এবং জীবনের সফল হবে।
৩. ধৈর্য ধরে সমাধান খুঁজুন:
জ্বালাতন করে না এমন সন্তান খুঁজে পাওয়া দায়ভার। আমি চাইও না এমন সন্তান গড়ে উঠুক যে কোনদিন আপনাকে জ্বালাতন করবে না; কারণ এটা স্বাভাবিক না। সো ধৈর্য ধারণ করে সন্তান লালন পালন করলে তারাও ধৈর্যশীল হয়ে উঠবে এবং তার আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
৪. ইফেক্টিভ কমিউনিকেশন:
এফেক্টিভ কমিউনিকেশনের একটা মানুষের জীবনে পরিবর্তনে যে কত বড় ভূমিকা রাখে তা আমার এই জীবনে এসে খুব ভালোভাবেই উপলব্ধি করতে পেরেছি। এফেক্টিভ কমিউনিকেশন এর মূল কথাকে অনেকটা বন্দুকের গুলির সাথে তুলনা করা যেতে পারে। এটা একবার বের হলে এর প্রতিক্রিয়া আর চেঞ্জ করা যায় না। তেমনি ইফেক্টেভ কমিউনিকেশন এর মাধ্যমে অন্যকে খুব ভালোভাবে প্রভাবিত করা যায়। তাই সন্তানের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা, অনুভূতি বুঝতে চেষ্টা করা, এবং পরামর্শ দেওয়ার সময় এ প্রভাব সম্পর্কে সব সময় সজাগ থাকতে হবে।
৫. কনসিটেন্সি বজায় রাখুন:
আপনি যে আপনার সন্তানের জন্য একটা নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান এই ব্যাপারটি প্রতিষ্ঠিত করার একমাত্র উপায় হল কনসিসটেন্সি। পরিবারে কোনো নিয়ম কানুন চালু করলে তা কোন দ্বিধা দ্বন্দ্ব ছাড়া সব সময় অনুসরণ করুন। এর ফলে সন্তান আপনার প্রতি এবং নিজেও নিয়ম মেনে চলার মানসিকতা তৈরি করবে।
পরিশেষে বলতে পারে এই পাঁচটি গুণ থাকলে প্যারেন্টিং অভিজ্ঞতা কে সফল করে তোলা যাবে। সন্তানকে এমনভাবে গড়ে তুলুন যেন সে আপনাকে আইডল মানে।